চাঁদপুরে স্বামীর দায়ের করা মামলায় স্ত্রী কারাগারে


স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরে এই প্রথম স্বামীকে নির্যাতন, ১০ লাখ টাকা, বাড়ি করে দেয়ার দাবি ও অন্য ছেলের সাথে বিয়ে করে গোপন রেখে পুনরায় আবার নতুন করে আড়াই লাখ টাকা কাবিন করায় শাহরাস্তি উপজেলার বানিয়াচোঁ এলাকার খন্দকার মনির হোসেনের দায়ের করা মামলায় তার স্ত্রী মিনোয়ারা বেগম (২৫) এর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গতকাল সোমবার দুপুরে শাহরাস্তি আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান জামান এই নির্দেশ দেন। মামলার বাদী খন্দকার মনির হোসেন শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়ন বানিয়াচোঁ গ্রামের মৃত খন্দকার আবু তাহেরর ছেলে এবং মামলার বিবাদী মরিনর হোসেনের স্ত্রী মিনোয়ারা বেগম কুমিল্ল¬া জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর গ্রামের ইমান হোসেনের মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মনির ও মিনোয়ারা বেগম ২০১৩ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে মিনোয়ারা বেগম স্বামী মনির হোসেনকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালে মিনোয়ারা বেগম পিত্রালয়ে গিয়ে গোপনে অন্য ছেলেকে বিয়ে করে সংসরার করে। কিছুদিন পরে আবার বিয়ের কথা গোপন করে মনিরের সংসারে আসে এবং আড়াই লাখ টাকা কাবিন করে।
এসব ঘটনা চলমান অবস্থায় মিনোয়ারা বেগম তার স্বামীর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবী করেন এবং তাকে বরুড়া একটি বাড়ী করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। তাদের উভয়ের মধ্যে এই নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হয় এবং মিনোয়ারা বেগম তার স্বামীকে বেধম পিটিয়ে আহত করে। এসব ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় খন্দকার মনির হোসেন ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মিনোয়ারা বেগমকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মোহাম্মদ মহসীন খান বলেন, আদালত মামলাটি আমলে তদন্ত করার জন্য শাহরাস্তি থানাকে নির্দেশ দেন। এছাড়াও বিবাদী মিনোয়ারা বেগমের বিয়ে, তালাক, তথ্য গোপন করে আবার বিয়ে ইত্যাদির কাগজপত্র পর্যালোচনা করেন। এসব পর্যালোচনা শেষে আজ আসামী মিনোয়ারা বেগম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. মো. হান্নান কাজী।