চাঁবিপ্রবির ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় করণীয় শীর্ষক মতিবিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের বর্তমান সমস্যাসমূহ অবহিতকরণ এবং ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের ওয়াবপদা গেট খলিশাডুলিস্থ বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের একটি সভাকক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকরা।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহম্মেদ বলেন, আমি নিজে স্বচ্ছ থাকলে বিগত দিনের মত কোন সমস্যা তৈরী হবে না। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি বিগত দিনের মতো কোন ধরনের সমস্যা এই বিশ^বিদ্যালয়ে তৈরী হবে না। সবার ঐক্যমতে এবং পরামর্শে বিশ^বিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামগত উন্নয়ন হবে। ধারাবাহিকভাবে বিশ^বিদ্যালয়ের জনবল নিয়োগ একাডেমিক অন্যান্য সমস্যা সমাধান হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিগত দিনে গণমাধ্যমের ভূমিকা ছিলো এবং আগামিতে থাকবে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমসহ আমরা আগামিতে সব ধরনের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবো। ইতোমধ্যে থমকে থাকা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সাথে কথা হয়েছে।
বিশ^বিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী।
সভার পরিচালনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি বিভাগের প্রভাষক সুস্মিতা কর। বিশ^বিদ্যালয়ের সমস্যাসমূহ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক মো. বায়েজিদ আহমেদ রনি।
সাংবাদিকদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন গিয়াস উদ্দিন মিলন, অধ্যাপক মোশাররফ হোসেন লিটন, আলম পলাশ, রিয়াদ ফেরদৌস, কাদের পলাশ প্রমুখ।
সভায় বিশ^বিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ এবং বিগত দিনে ভূমি অধিগ্রহণে রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের সরাসরি হস্তক্ষেপ ও জটিলতার বিষয়ে আলোচনায় উঠে আসে। একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠী সরকারের কোটি কোটি টাকা লোপাট করার জন্য এই বিশ^বিদ্যালয় দেশজুড়ে আলোচিত ও সমালোচিত হয়। যার কারণে এই বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ তৈরী করে দেয়ার লক্ষ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পরামর্শ দেন সাংবাদিকরা।

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪।