নবী নোমান
ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে বিরতিহীনভাবে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান পদে চিংড়ি প্রতীকের প্রার্থী খাজে আহমেদ মজুমদার নির্বাচিত হয়েছেন। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীক নিয়ে মো. আকবর হোসেন মনির ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্যামেরা প্রতীকের প্রার্থী মাজুদা বেগম বিজয়ী হয়েছেন।
জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৭২ হাজার ৬শ’ ৭৯ জন। যার মধ্যে ৮২ হাজার ৯শ’ ৩০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটের হার ২২.২৫%। সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন থেকে নির্বাচনের সার্বিক ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এতে চেয়ারম্যান পদে চিংড়ি প্রতীকের প্রার্থী খাজে আহমেদ মজুমদার ৬২ হাজার ৪শ’ ৯৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আমীর আজম রেজা পেয়েছেন ২০ হাজার ১শ’ ৬৫ ভোট। খাজে আহমেদ মজুমদার ৪২ হাজার ৩শ’ ৩১ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হন।
অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে তালা প্রতীক নিয়ে মো. আকবর হোসেন মনির ৫৫ হাজার ৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের আবু সুফিয়ান শাহীন পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩শ’ ৮৫ ভোট। অপর আরেক প্রার্থী বই প্রতীক নিয়ে মো. কামরুজ্জামান পেয়েছেন ৯ হাজার ২শ’ ৬০ ভোট।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্যামেরা প্রতীকের প্রার্থী মাজুদা বেগম ৪৮ হাজার ১শ’ ১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী রীনা নাছরিন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪শ’ ৯৬ ভোট। আরেক প্রার্থী পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে হালিমা বেগম পেয়েছেন ৯ হাজার ২শ’ ৭ ভোট পান।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মোট ৩ লাখ ৭২ হাজার ৬শ’ ৬৯ জন ভোটার। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ১শ’ ২২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫শ’ ৫৭ জন। ভোট প্রদানের হার শতকরা ২২.২৫ ভাগ। এদিন ১১৮টি ভোট কেন্দ্রের ৮৭৪টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে ৭টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছিল। এসব কেন্দ্রে জন্য নেয়া হয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ রায়হান আরেফীন বলেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের সমন্বয়ে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছিলো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের সমন্বয়ে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছিল।
০৬ জুন, ২০২৪।