বাবুরহাট বাজারে সরকারি ভূমি অবৈধভাবে দখলের হিড়িক

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর পৌরসভার বাবুরহাট বাজারে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারি ভূমি অবৈধভাবে দখলের প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে জেলা পরিষদের মালিনাকাধীন ভূমি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকায় পূর্বের লিজগ্রহীতারা এখনো অবৈধভাবে জোরপূর্বক দখল বহাল রেখেছে।
এ সংক্রান্ত উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকলেও উচ্চ আদালতে আপিল অনিষ্পন্ন থাকায় উচ্ছেদ কার্যক্রম থমকে আছে। এই সুযোগে স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু নতুন করে জেলা পরিষদের ভূমি ও খাল দখলের প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। তাদের শেল্টার দিচ্ছে রাজনৈতিক অপশক্তি ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ কয়েক বছর আগে বাবুরহাট বাজারে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সুপার মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ইতিমধ্যে মার্কেটের ডিজাইন অনুমোদনের পর টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়। মার্কেটে দোকান বরাদ্দের কার্যক্রমও অনেকদূর এগিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় কিছু দখলবাজ লোক রাজনৈতিক শেল্টার নিয়ে মার্কেট নির্মাণ বন্ধ করতে উঠেপড়ে লাগে। এরা কিছু ব্যবসায়ীকে ভুল বুঝিয়ে উচ্চ আদালতে মামলাও করায়। সেই মামলার রায় জেলা পরিষদের পক্ষে আসার পর অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু হয় প্রশাসনিকভাবে। কিন্তু হেরে যাওয়া পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করায় উচ্ছেদ কার্যক্রম থমকে আছে। নইলে এতদিনে মার্কেটের নির্মাণ কাজ অনেকদূর এগিয়ে যেত।
এই সুযোগে স্থানীয় ওই দখলবাজ চক্রটি জেলা পরিষদের ভূমি ও খাল দখলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ইতোমধ্যে রাতের আঁধারে একাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মিত হয়েছে সেখানে। আরো কিছু স্থাপনা নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। তবে আইনী জটিলতার কারণে এই মুহূর্তে দখলদারদের উচ্ছেদও করতে পারছে না জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, প্রস্তাবিত মার্কেট এলাকায় পূর্বে যারা বৈধভাবে লিজ নিয়েছিলেন মার্কেট নির্মাণের সিদ্ধান্তের পর সবার লিজ বাতিল করা হয়েছে কয়েক বছর পূর্বে। এরপর তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বার-বার নোটিশ প্রদান করার পরও ওইসব অবৈধ দখলদার তাদের দোকান/স্থাপনা এখনো সরিয়ে নেয়নি। এ অবস্থায় বাবুরহাটে জেলা পরিষদের সুপার মার্কেট নির্মাণের প্রশংসিত উদ্যোগটি ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অথচ মার্কেটটি নির্মিত হলে বাবুরহাট এলাকার চিত্র পাল্টে যেয়ে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হতো। দ্রুত অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে সরকারি ভূমি ও খাল রক্ষায় জেলা পরিষদসহ স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

১৬ মার্চ, ২০২২।