মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সাংস্কৃতিক পরিষদের প্রস্তুতি সভা

 

মানিক দাস :
চাঁদপুরে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার সাংস্কৃতিক পরিষদের প্রস্তুতিমূলক সভা গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কদমতলা রোডস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাংস্কৃতিক পরিষদের আহ্বায়ক তপন সরকারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মৃনাল সরকারের পরিচালনায় বক্তারা বলেন, ২৬ তম বিজয়মেলা পার করেছি অনেক ঝড়-ঝাপটার মধ্য দিয়ে। যখনই সংকট দেখা দিয়েছে তখনই জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা এম.এ ওয়াদুদ সেগুলো সমাধান করেছেন। ২০১৭ সালের বিজয় মেলা ছিল আমাদের জন্য কালজয়ী বছর। ২৫ বছর বিজয় মেলা করতে গিয়ে কিঞ্চিত পরিমাণ সমস্যা দেখা দেয়নি। কিন্তু ২৬ তম বিজয় মেলায় বিজয় মেলার একটি চক্র অনেক সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বিজয় মেলার প্রধান উপদেষ্টা চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির নির্দেশেই আমরা ২৬ তম বিজয় মেলা উদ্যাপন করেছি।
বক্তারা আরো বলেন, দেশের অন্যান্য জেলায় বিজয় মেলার নামে জুয়া, হাউজি, যাত্রাসহ বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কর্মকা- হয়ে থাকে। কিন্তু নারী বর্জিত পুতুল নাচ একমাত্র চাঁদপুরের বিজয় মেলায় হয়েছে। এ বছর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ৮ ডিসেম্বর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনি এমপি। উদ্বোধক হিসেবে থাকবেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এম.এ ওয়াদুদ।
এ বছর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় চাঁদপুরের প্রায় ৩০টির মত সংগঠন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করব। তাছাড়া চাঁদপুরের বাইরের ৬টি সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ২টি নাট্য সংগঠন অংশগ্রহণ করবে। গত বছরের বিজয় মেলায় আগরতলার সরকার ও বিরোধী দলের নেতারা এই বিজয় মঞ্চে স্মৃতিচারণ করেছেন। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রভাবশালী নেতা আমির হোসেন আমু স্মৃতিচারণ করে গেছেন। এতে করে আমরা মনে করি মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের মেলায় ২৬ তম বছরে বিগত বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ২৭তম বিজয় মেলায়ও এমনিভাবে চাঁদপুরের বাইরের ও বাংলাদেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা এই মঞ্চে স্মৃতিচারণের জন্য আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিজয় মেলার মাধ্যমে আমরা রক্তধারা, মুক্তিসৌধ ও শহীদ মিনার নির্মাণে বিজয় মেলা থেকে অর্থ প্রদান করেছি।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন বিজয় মেলা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরন, বিজয় মেলার মহাসচিব হারুন আল রশীদ, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি পীযুষ কান্তি রায় চৌধুরী, নতুন কুড়ি সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাড. আবুল কালাম সরকার, মাঠ মঞ্চের আহ্বায়ক ইয়াহিয়া কিরন, স্বপ্নকুড়ি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মিজান লিটন, হাওয়াই গিটার পরিষদের দিলীপ কুমার ঘোষ, খেলাঘর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সুন্দর মন্ডল, দোয়েল সাংস্কৃতিক সংগঠনের এমআই মমিন খান, উদয়ন সঙ্গীত বিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ দাস, সুরধ্বনি সঙ্গীত একাডেমির অধ্যক্ষ অনিতা নন্দী, কণ্ঠশিল্পী তাহমিনা হারুন, পুনাকের অধ্যক্ষ শিপ্রা মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক কমান্ডের কে.এম মাসুদ, সুদীপ কর ও শিশু থিয়েটারের সভাপতি পি.এম বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।