স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের পর বিভিন্ন অনিয়মের কথা উল্লেখ করে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের পরাজিত অভিভাবক সদস্য সালে আনজুম তমালের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জেলা শিক্ষা অফিসার সফিউদ্দিন সরজমিনে এসে অভিযোগের তদন্ত করেন। এ সময় অভিযোগকারী, নবনির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য প্রার্থী সালে আনজুম তমাল সরকারি ফ্রি জমা দিয়ে নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম হয়েছে উল্লেখ করে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ দায়ের করে। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য দায়িত্ব দেন। তারি প্রেক্ষিতে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গতকাল শনিবার সরজমিনে এসে বিষয়টি তদন্ত করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকারের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিদ্যালয়ের নব-নির্বাচিত সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ সবাই দক্ষ এবং মেধাবী। তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে বিদ্যালয়টি পরিচালনা হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান দ্রুত উন্নয়ন হবে। বিদ্যালয়টি একটি দুর্নীতিমুুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হবে। বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন সভাপতি থাকা রুবেল পাটওয়ারী বিভিন্নভাবে অনিয়ম করে বিদ্যালয়ের টাকা তছরুপ করেছে। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনামের সাথে চললে ও কিছু লোকের অদৃশ্য ইন্দনে সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্টের পথে রয়েছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, তমাল অভিযোগটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে করেছে। বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের নিরপেক্ষ ভোটে চারজন অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। তারা মিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও দুর্নীতি বন্ধ করার জন্য উদীয়মান তরুণ সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী রাশেদ জাহান তুষার খানকে সভাপতি নির্বাচিত করেন। রাশেদ জাহান তুষার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই একটি চক্র বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করার জন্য তমালকে দিয়ে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেন।
বিদ্যালয়টি কুচক্র মহল থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা এলাকাবাসী ও অভিভাবকবৃন্দ প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং বিগত সভাপতি রাশেদ উল্ল্যাহ রুবেল পাটওয়ারীর বিভিন্ন প্রকার অর্থের দুর্নীতির তদন্ত দাবি করেন। এ সময় অভিযোগকারী তমালের মেয়ে শুধু মৈশাদী উচ্চ বিদ্যালয়ে খাতা-কলমেই সীমাবদ্ধ। সে অন্য স্কুলে ক্লাস করে আসছে। বিষয়টি সরজমিনে গিয়ে তদন্ত করার জন্য এলাকাবাসী জোরালো অনুরোধ করেন। তদন্তের সময় বিদ্যালয়ের সভাপতি দাবিদার রাশেদুল্ল্যাহ পাটওয়ারী রুবেলের অনিয়ম, দুর্নীতি বিচার চেয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে এবং রুবেল পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে দেয়ালে-দেয়ালে পোস্টার সাঁটিয়ে দেন।
রুবেল পাটওয়ারীর বড় ভাই ফরিদুল্ল্যাহ পাটওয়ারী জামান বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতি দাবিদার রুবেল পাটওয়ারী একজন দুর্নীতিবাদ। তিনি শিক্ষক নিয়োগে মোটা অংকের টাকা দুর্নীতি করেন। এ দুর্নীতিবাজ বিদ্যালয়ের কিভাবে সভাপতির দাবি করেন। তার বিচার হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৩ জুলাই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।