স্টাফ রিপোর্টার
হাইমচরে মাদক ব্যবসায়ী রুবেলের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সাংবাদিক শরীফ হোসেন। স্থানীয় লোকজন শরিফ হোসেনকে হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে নিয়ে আসলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডা. তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শরীফ হোসেন দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
জানা যায়, মাদক ব্যবসায়ী রুবেলের মাদক ব্যবসাসহ এলাকায় তার বিভিন্ন অপকর্মের কথা পত্রিকায় প্রকাশ হওয়াকে কেন্দ্র করে গত ৬ নভেম্বর রাত ১০টার সময় রায়ের বাজারে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মৃত নজরুল শাহের ছেলে রুবেল শাহ তার দলবল নিয়ে সাংবাদিক শরিফের উপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতালি কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ বর্ডার এলাকায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মৃত নজরুল শাহ এর ছেলে রুবেল শাহ দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসাসহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে। তার ভয়ে এলাকার লোকজন সবসময় আতংকে থাকে। দুই মাস আগে পশ্চিম লাড়–য়া ফকির বাড়ির সামনে স্থানীয় প্রবাসী আলি হোসেন শিপন শাহ প্রতিবাদ করলে তার উপরও দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। তখনও ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। সন্ত্রাসী রুবেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের ৪টি মামলা চলমান রয়েছে। কিছুদিন আগে সে জেল থেকে জামিনে বের হয়ে পুনরায় মাদকের ব্যবসা চালু করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চালু করেছে। এলাকার মানুষজন তার কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে আহত শরিফ হোসেন জানান, কিছুদিন আগে রুবেলের মাদক ব্যবসার খবর স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার সূত্র ধরে আমাকে তারা বিভিন্নভাবে হুমকি দিত। কিছুদিন পর সে পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলে চলে যায়। পুনরায় জামিনে এসে গতকাল রাতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এলোপাতালি কুপিয়ে জখম করে। আমার চিৎকার শুনে বাজারের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আমাকে হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। আমি বর্তমানে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি।

