নিজস্ব প্রতিনিধি
হাজীগঞ্জে সাড়ে ৫/৬ ছয় বছরের এক শিশু নাতনিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার নানার বিরুদ্ধে। গত শনিবার দুপুরে পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের মিয়াজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে নানা মহসিন মিয়াজী ওরফে লিটনের (৫০) মোবাইল নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। তিনি ওই বাড়ির মৃত কলিমুল্লাহ মিয়াজীর ছেলে। সম্পর্কে শিশুটির নানা হন তিনি।
ধর্ষণের পর গুরুতর আহত শিশুটিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় তার পরিবার। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে দেখার পর ভর্তি এবং পুলিশকে অবহিতকরণে পরামর্শ দেন। এরপর ঔষুধ আনার কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসলেও, হাসপাতালে ফিরে আসেনি তার পরিবার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসিবুল হাসান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈদ্যুতিক সর্ট-সার্কিটের আগুনে পুড়ে বসতঘরসহ সব কিছু হারিয়ে নানার বাড়িতে আশ্রয় নেয় শিশটির পরিবার। শনিবার সকাল অনুমানিক ১১-১২টার মধ্যে প্রতিদিনের মতো শিশুটি নানার বাড়িতে খেলাধুলা করছিলো। একপর্যায়ে শিশুটি বাড়ির সামনে রাস্তায় আসলে মহসিন মিয়াজী ওরফে লিটন তার বাসার ভিতরে নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
নানী শাহীন বেগম জানান, আমার নাতিনকে কান্নাকাটি করতে দেখে তাকে কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করি। এরপর সে বিস্তারিত জানায়। এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে খুন করা হবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ধর্ষক লিটন।
এ ঘটনার পর থেকেই মহসিন মিয়াজী লিটনের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি (০১৭৮৭….২৬৯৫) বন্ধ রয়েছে। তার স্ত্রী’র মোবাইল নম্বরে (০১৭১২….৮৭৮৯) যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার স্বামীর মোবাইল নম্বর মুখস্ত নেই। আবার বলেন, তার (স্বামীর) মোবাইল বন্ধ রয়েছে। এরপর বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আলহাজ আবু বকর ছিদ্দিক জানান, নির্যাতিত শিশুর নানী আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরেছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।