ফরিদগঞ্জে শাশিয়ালী উবির সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতি

নারায়ন রবিদাস
ফরিদগঞ্জে শাশিয়ালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া নিয়োগ দেয়া হয়েছে দুদুকের কাছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সোমবার (৪ অক্টোবর) সকালে বিদ্যালয়ে এসে চাঁদপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে একটি টিম দুদুকের প্রেরিত চিঠির আলোকে তদন্ত শুরু করেছেন।
জানা গেছে, কয়েক বছর আগে এমপিও তালিকাভুক্ত হওয়া ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের শাশিয়ালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সফিকুল ইসলাম তপাদারের স্ত্রী সেলিনা বেগম (ইনডেক্স নং-৫৬৮০০৩৪০) কে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু নিয়োগ বিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত ২৭ জুলাই দুদুকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে স্থানীয় আনোয়ার হোসেন ও সোহাগ পাটওয়ারী নামে দুই ব্যক্তি।
আনোয়ার হোসেন ও সোহাগ পাটওয়ারী জানান, এমপিও নীতিমালা ২০১৮/১৯ মোতাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ১০ বছর নিয়মিত চাকুরি করার নিয়ম থাকলেও নিয়োগ পাওয়া সেলিনা বেগম ননএমপিও অবস্থায় ২০০৫ সালে এই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেখানো হলেও তিনি স্বামীর সাথে ঢাকায় বসবাস করেছেন। কখনোই বিদ্যালয়ের আসেননি। ফলে তিনি নিয়মিত শিক্ষক নন। যা অনিয়ম। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাবেক সভাপতিকে খুশি করতে নীতিমালা উপেক্ষা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। ফলে বাধ্য হয়ে দুদুক বরাবর আবেদন করেছি।
দুদুকে আবেদনের প্রেক্ষিতে দুদুক চাঁদপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারীকে তদন্তপূর্বক রিপোর্ট করার দায়িত্ব দেয়। সেই আলোকে সোমবার সকালে তার নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল শাশিয়ালী উচ্চ বিদ্যালয়ে তদন্ত করতে আসেন।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হুমায়ুন কবির জানান, তিনিও এই নিয়মের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এতবড় অনিয়ম মেনে নেয়া যায় না।
১০ম শ্রেণির ছাত্র আরমান মজুমদারসহ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে এই বিদ্যালয়ে পড়ছি। সেলিনা ম্যাডামকে কোনদিন বিদ্যালয়ে কোনদিন ক্লাস করতে দেখিনি।
তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারী জানান, আমরা দুদুকের চিঠির আলোকে তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে কিছু কাগজপত্র দেখেছি। আরো চাহিদা মাফিক কাগজপত্র দিতে বলেছি। আগামি ১৪ তারিখের মধ্যে আমাদের রিপোর্ট প্রদান করতে হবে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইকবাল হোসেন জানান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি এসেছে। আমি তাদের চাহিদা মোতাবেক কাগজপত্র সরবরাহ করেছি।

০৫ অক্টোবর, ২০২১।