এস এম সোহেল :
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সা ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক স্বপন বেপারী (৫০) ও যাত্রী মরিয়ম (দেড় বছর) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় একই সাথে থাকা দুই সিএনজি অটোরিক্সার ৯ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সোয়া ১১টায় চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ সড়কের ধানুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো- একই পরিবারের লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার সুন্দরা গ্রামের জসিম পাটওয়ারীর স্ত্রী রুমা বেগম (২৮), তার শিশু কন্যা জান্নাত (৫), পেয়ারা বেগম (৪০), তার কন্যা আমেনা আক্তার (৬), সালমা বেগম (৩০), তার বোন ফাতেমা বেগম (১৮), হিমেল (১৬), মো. শহীদ উল্যাহ (৭০), তার স্ত্রী অহিদা বেগম (৬০) ও মহসীন (২০)। আহতদের চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় হিমেল, মরিয়ম (ঢাকা নেয়ার পর মৃত) ও সালমা বেগমকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। পরে মরিয়ম (দেড় বছর) ঢাকায় মারা যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মানিক জমাদার বলেন, চাঁদপুর পুলিশ লাইন থেকে রাঙ্গামাটির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া দ্রুতগ্রামী মাইক্রোবাস বিপরীত দিক থেকে চাঁদপুর শহরের দিকে আসা দু’টি সিএনজিচালিত অটোরিক্সার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএনজি দু’টি ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে। আর মাইক্রোবাসটি পাশের বাগানের মধ্যে ডুকে যায়। সিএনজি দু’টির যাত্রীদের মধ্যে সবাই আহত হয়। এর মধ্যে সিএনজি চালক স্বপন ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহত সবাইকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আসিকুল আহসান চৌধুরী জানান, নিহত চালকের মরদেহ থানার মর্গে রয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আফজাল হোসেন। তিনি জানান, মাইক্রোবাসটিতে রাঙ্গামাটি থেকে আসা পুলিশের বাদক দল ছিলো। গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) চাঁদপুর পুলিশ লাইনে জেলা পুলিশের বার্ষিক সমাবেশ অনুষ্ঠানে তারা আসেন। সকালে যাওয়ার সময় তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। মাইক্রোবাস (ঢাকা-চ-৫৩-৫৪৬০), সিএনজি অটোরিক্সা (লক্ষ্মীপুর-থ-১১-৪৩৫৫) ও (চাঁদপুর-থ-১১-৬৩২২) ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রেখেছেন। দুর্ঘটনার কারণ পুলিশ তদন্ত করে দেখছেন বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।
