স্টাফ রিপোর্টার
দৈনিক আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জাকির হোসেনের বাড়িতে হামলাকারী মামলার ২নং আসামি মো. সাকিবুল ইসলাম (নিসান) নামে একজনকে আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।
জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁদপুর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (ইন্টেলিজেন্স) মো. আব্দুর রহিম ও এএসআই আনোয়ার গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ১০টায় অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে আটক করে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে। এ সময় খবর পেয়ে হামলাকারীর মূলহোতা মামলার ১নং আসামি ফখরুল ইসলাম (রাছেল) সহ অন্যান্য আসামিরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম জানান, আলোকিত চাঁদপুর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. জাকির হোসেনের ঘর ও তার ভাইয়ের ঘরে হামলা ও তার ভাইয়ের অন্তস্বঃত্ত্বা স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় ১৮ জুন তার বড় ভাই ইয়ার আহমেদ লিকসন বাদি হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার নং- জিআর ৪৮/৩৫৩-২০১৯। এ মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার মামলার ২নং আসামিকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গরীব দুঃখী সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতির সভাপতি চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের সকদি পাঁচগাঁও গ্রামের মৃত শাহ আলম মজুমদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম মুজমদার (রাজিব) ও তার ভাই সমিতির মালিক সদস্য সাইদুল ইসলাম, ফখরুল ইসলাম (রাছেল) ও মো. সাকিবুল ইসলাম (নিসান) সমিতির বিভিন্ন গ্রহাকের প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ২০১৬ সালে দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের সম্পাদক ও প্রকাশক জাকির হোসেন ও তার ভাইদের কাছে বসত বাড়ি বিক্রি করে পরিবারের সব সদস্য উধাও হয়ে যায়।
৩ বছর পর ১৪ জুন সন্ধ্যায় ১৫-২০ জন সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জাকির হোসেন ও তার ভাইদের ক্রয়কৃত দখলীয় সম্পত্তির প্রাচির ভেঙ্গে ফেলে। প্রাচির ভাঙ্গার বিষয়টি জাকির হোসেনের ভাই মাইন উদ্দিন জানতে চাইলে তার সাথে তারা উল্টো খারাপ আচরণ করে এবং গালমন্দ করে। ওই দিনই সন্ধ্যায় তাদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে মিথ্যে তথ্য দিয়ে থানা থেকে পুলিশ নেয় রাজিব গংরা। এএসআই শাখাওয়াত ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করলে ঘটনাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। মূলত সাইফুলের ভাইয়েরাই হামলা চালিয়ে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে।
পরদিন রোববার রাত সোয়া ৮টার দিকে ফখরুল ইসলাম (রাছেল) ও তার ভাই নিসান সহ ৫-৬ জন সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে সাংবাদিক জাকির হোসেন এর ঘর ও তার ভাই মাইনুদ্দিনের ঘরের দরজা ভেঙে তার অন্তস্বঃত্ত্বা স্ত্রীকে একা পেয়ে বেদম মারধর করে আহত করে। তার ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে রাছেল তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রীনা বেগমকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনা মডেল থানা পুলিশকে জানানোর পর ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে যান এবং হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসারত রীনা বেগমকে দেখে আসেন। পরবর্তীতে এ ঘটানায় চাঁদপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
