ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি বন্ধ

পুলিশের তৎপরতায়


ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
চাঁদপুরের পুলিশ সুপারে নির্দেশে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি বন্ধ করেছে থানা পুলিশ। দীর্ঘদিন থেকে শুরু হওয়া বিভিন্ন ধরনের চাঁদা আদায় বন্ধ হওয়ায় যাত্রী সাধারণ ও চালকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
চাঁদাবাজরা যাত্রীসাধারণকে জিম্মি করে চালকদের লাঠি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলো। ভয়-ভীতিতে দূরপাল্লার চালকদের কাছে যা চাওয়া হয় তাই দিতে বাধ্য হয়।
এদিকে এখনো পৌরসভার বাড়তি টোল আদায়ের অভিযোগ রয়েছে সিএনজি ও আটোরিক্সা চালকদের। তারা জানান, পৌরসভার রিসিটে ১০ টাকা আদায়ের লিখা থাকলেও বাস্তবে আদায় করা হচ্ছে ১৫ থেকে ২০টাকা।
উপজেলার ভাটিয়ালপুর চৌরাস্তা, কালিরবাজার রাস্তা, বাসস্ট্যান্ড, গৃদকালিন্দিয়া বাজার, রামপুর, রূপসা, আনন্দবাজার, কড়ৈতলী বাজার, চৌরঙ্গী বাজার, ফিরোজপুর, গাজিপুর চৌরাস্তা, চান্দ্রা বাজার, মুন্সির হাট, গল¬াক, কামতা, খাজুরিয়া, গুপ্টিসহ সবগুলো রুটে চাঁদা আদায় বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করে কেউ চাঁদা আদায় করলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
পৌর সচিব খোরশেদ আলম জানান, পৌরসভার শুরু থেকে দীর্ঘদিন টোল আদায় অপরিবর্তিত ছিল। বর্তমান বছরে টোল বাড়ানো হয়েছে। তবে আগে যানবাহনপিছু ৫ থেকে ১০ টাকা ধার্য ছিল।
পৌর বাজারে খাজনা যার-যার ইচ্ছে মতো আদায় করে চলছে। সাপ্তাহিক হাট-বাজারের দিনে বিক্রেতাদের সাথে ইজারাদার প্রতিনিধিদের ব্যবসায়ীদের অহরহ বাকবিত-া হচ্ছে।
এদিকে শ্রমিক সমিতির সভাপতি শহিদ বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, জেলা শ্রমিক লীগের পক্ষ থেকে তাদের কমিটিকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শ্রমিক লীগ টাকা আদায় করার বিধান রয়েছে, অথচ কমিটির নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি ছাড়াই সন্ত্রাসী কায়দায় অন্যরা টাকা তুলে চলছে। তাই শ্রমিক লীগের পক্ষ থেকে টাকা আদায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে অবৈধ কমিটির মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে চলছে। তারা আরো জানান, বর্তমানে শ্রমিক লীগের উপজেলা পর্যায়ে কোন কমিটি নেই।
সিএনজি চালক ও মালিকরা অভিযোগ করে জানান, পুলিশ সিএনজিপিছু মাসিক ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। পুলিশের এ চাঁদা বন্ধ করা দরকার।
চাঁদা আদায় বন্ধের বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশেই আমি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সবকটি রুটে চাঁদা আদায় বন্ধ করে দিয়েছি।