৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষের অসহনীয় দুর্ভোগ
ফয়সাল আহমেদ
কচুয়ায় সহদেবপুর ইউনিয়নের কাদিরখিল ও প্রসন্নকাপ গ্রামের মধ্যস্থলে সুন্দরী খালের উপর নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজ ৪ বছরেও শেষ হয়নি। ৫টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জিসিবি-৩ প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ বছর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ব্রিজ নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করেন। ব্রিজ নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ শেষ করার কথা থাকলেও প্রায় ৪ বছরেও তা শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ব্রিজ নির্মাণের কাজ বন্ধ করার কোন যৌক্তিক কারণ না থাকলেও বছরের পর বছর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এতে কারো কোন গুরুত্ব নেই। এখনো পর্যন্ত ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। বাকি ৮০ শতাংশ কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে তা জানা নাই কারো।
সহদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ব্রিজটি কেন নির্মাণ কাজ হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল- এর কারণ আমার অজানা। ব্রিজ নির্মাণ কাজ বন্ধের কারণে এই পথে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ অনেক গুণ বেড়ে গেছে।
কাদিরখির গ্রামের অধিবাসী প্রসন্নকাপ উচ্চ বিদ্যলয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. জিহাদ হোসেন বলেন, এই ব্রিজের পাশেই আমার বাড়ি। প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে ১০ টাকায় নৌকা দিয়ে খেয়া পাড় হয়ে স্কুলে যেতে ও আসতে হয়। ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আলীম লিটন বলেন, করোনা ও অন্যান্য কারণে ব্রিজ নির্মাণ কাজ এতোদিন বন্ধ ছিলো। এখন সব স্বাভাবিক হয়েছে। ঠিকাদারের সাথে কথা বলে ব্রিজ নির্মাণের কাজ পুনরায় শুরু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলার একজন কর্মকর্তা বলেন, ব্রিজের নির্মাণের শুরুর সময়ে নির্মাণ উপকরণ যেমন- ইট, বালি, পাথর, সিমেন্ট ও রডসহ অন্যান্য উপকরণের দাম কম ছিলো। কিন্তু টেন্ডারের পর ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরুর সাথে সাথে হু-হু বেড়ে যায় সব ধরনের উপকরণের দাম। সেই সাথে আবার বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস আরম্ভ হয়। তাই ব্রিজ নির্মাণে কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং ঠিকাদার গাঢাকা দেয়। অচিরেই ব্রিজের কাজ পুনরায় আরম্ভ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ব্রিজ নির্মাণের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএস সাকিব এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আহসান হাবিব অরুনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সাংবাদিক পরিচয় ও ব্রিজ সংক্রান্ত প্রশ্ন শোনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অসুস্থ বলে মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর কয়েকবার পুনরায় যোগাযোগ কারার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
০৭ নভেম্বর, ২০২২।