ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জে অস্ত্রের মুখে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত সাব্বির, স্থানীয় আকরাম হোসেনসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ১০/১২জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। গত রোববার রাতে উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের কাঁশারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন সাদ্রা গ্রামের স্থায়ীবাসিন্দা। সে ওই এলাকায় স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী। সাব্বির নামে এক কিশোর তাকে মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। এসব কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করত সাব্বিরের সহযোগী বেশ কয়েকজন কিশোর। ভুক্তভোগী কিশোরী প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় সাব্বির তাকে অপহরণের হুমকি দেয়। হুমকির পর থেকে ওই কিশোরী তার মামার বাড়ি কাঁশারা গ্রামে আশ্রয় নেয়। ঘটনারদিন রাতে সবাই যখন মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। ওই সুযোগে সাব্বিরসহ বেশ কয়েকজন কিশোর অস্ত্র নিয়ে কিশোরীর মামার বসতবিল্ডিং এ এসে হামলা করে। পরে তারা কিশোরীর পরিবারের সদস্যদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে টেনে-হিঁচড়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় অপহরণকারীরা টাকা, মোবাইল ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার।
অপহরনের শিকার কিশোরীর নানা সহিদ উল্যাহ জানান, বিশাল বিশাল রামদা, ছুরিসহ অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সাব্বিরসহ তার সহযোগীরা ১৫ থেকে ২০ জন এসে আমাদের সবাইকে অস্ত্র ধরে আমার নাতনিকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে কাঁশারা গ্রামের হায়দার আলী সর্দারের ছেলে অভিযুক্ত সাব্বির তার নিজ গ্রাম থেকে উধাও হয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আকরাম হোসেন এলাকায় পাওয়া যায়নি, তাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহআলম গতকাল সোমবার বিকেলে এ প্রতিবেদককে বলেন, কিশোরীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
১১ মার্চ, ২০২৫।