স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর বক্ষব্যাধী ক্লিনিকের কনসালটেন্ট ডা. মাহমুদ উল্লাহ সাইফের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি….রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৩৫ বছর। তিনি স্ত্রী, পিতা-মাতা, ভাই-বোনসহ ২ ছেলে রেখে গেছেন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) প্রথম জানাযা ঢাকার পিজি হাসপাতাল সেন্ট্রাল মসজিদ ঢাকা সকাল সাড়ে ৮টায়, ২য় জানাযা চাঁদপুর বক্ষব্যাধি ক্লিনিক প্রাঙ্গণে বাদ জোহর এবং তৃতীয় জানাযা তার গ্রামের বাড়ি শাহারাস্তির নোয়াগাঁও গ্রামে বাদআসর অনুষ্ঠিত হয়। তিনদফা জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শনিবার বাদ জোহর চাঁদপুর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল মাঠে দ্বিতীয় জানাজায় ইমামতি করেন নাজির পাড়া জামে মসজিদের ইমাম গাজী হানিফ।
মেডিনোভার এমডি কায়ুম খানের পরিচালনায় জানাজার আগে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সাবেক প্রধান প্রফেসর ডা. সালেহ আহমদ, মরহুমের বড় ভাই মো. ওবায়েদুল্লাহ আনছারী, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাও. বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী, চাঁদপুর সদর হাসপাতালের সিনিয়র অর্থোপেডিক কনসালটেন্ট ডা. আনিসুর রহমান, বিএমএ’র সভাপতি ডা. নুরুল হুদা, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আসিফ ইকবাল, শহর জামায়াতের আমীর অ্যাড. শাহজাহান খান, মেডিনোভার চেয়্যারম্যান শাহ জামান গাজী।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন মাজহারুল ইসলাম চক্ষু হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আনোয়ার হোসেন শেখ, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্তের সম্পাদক ও প্রকাশক অ্যাড. শাহজাহান মিয়া, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম সোহেল, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. সাখাওয়াত হোসেনসহ সদর হাসপাতালের ডাক্তার, বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি, হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, শাহরাস্তির বাসিন্দা মাও. আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ছেলে ডা. মাহমুদ উল্লাহ সাইফ। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি চাঁদপুর বক্ষব্যাধী হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠাবান, কর্তব্য পরায়ন, সততা ও একাগ্রতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি স্বল্পভাষী এবং সদালাপী ছিলেন। সহকর্মীদের কাছে খুবই প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ডা. মাহমুদ উল্যাহ সাইফ ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিলেন। কিছুদিন আগে তাকে ঢাকার শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
২০ অক্টোবর, ২০২৪।