ফয়সাল আহমেদ
কচুয়া উপজেলার মাঝিগাছা এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যা ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে মোট ব্যয় করা হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ ১৭ হাজার ৬২ টাকা। প্রকল্পটির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ছিলেন হাইমচর উপজেলার খায়ের এন্টারপ্রাইজ। আশ্রয়কেন্দ্রের ১১শ’ ৮৮ বর্গমিটারের ভবনটির মোট আয়তনের ধারণ ক্ষমতা লোকসংখ্যা ৪শ’ জন, গবাদী পশু ১শ’ টি এবং আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতি তলার আয়তন ৩শ’ ৯৬ বর্গমিটার। তাছাড়া আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এ ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ভবনটিতে রয়েছে বর্জ্য নিরোধক ব্যবস্থা।
মাঝিগাছা এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ভবনটি উদ্বোধন হলে স্থানীয়রা এ ভবনের সুফল পাবে।
মাঝিগাছা এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. রাজীব আহমেদ (রাজু) বলেন, সাবেক এমপি ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের একান্ত প্রচেষ্টায় এ আশ্রয়কেন্দ্রটির বরাদ্দের ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়। তার পরপরই এ ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আমি মাঝিগাছাবাসীর পক্ষে কৃতজ্ঞতা জানাই ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর স্যারকে। যিনি আমাদের এই অত্যাধুনিক সুবিধাসমৃদ্ধ ভবনটি উপহার দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে এই ভবনটির মাধ্যমে স্থানীয়রা ব্যাপক সুফল পাবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কর্মকর্তা মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে আমি ভবনটি পরিদর্শন করেছি। মাঝিগাছা এমএম উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যা ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়। তবে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ভবনটি এখনো পর্যন্ত আমাদের হস্তান্তর করেনি। হস্তান্তর করার পরই ভবনটি উদ্বোধনের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন্যা প্রবন ও নদী ভাঙন এলাকায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ (৩য় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই আশ্রয়কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়।
০১ জুলাই, ২০২৪।