আহসান হাবীব সুমন
কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের নাউপুরা গ্রামের মৃত আউয়ালের স্ত্রী অসহায় দরিদ্র মনোয়ারা বেগম ৮ বছর যাবত ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে অসহনীয় যন্ত্রণায় দিনাতিপাত করছে। ২০১৩ সালে মনোয়ারা বেগমের ক্যান্সার ধরা পড়লে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোমে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। চিকিৎসকরা ক্যান্সার নিশ্চিত হওয়ার পর মনোয়ারা বেগমকে কয়েক দফায় কেমোথেরাপী দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ২০১৯ সালে পুনরায় মনোয়ারা বেগমের অবস্থার অবনতি ঘটলে বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৮ লাখ টাকা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোমে থেকে চিকিসাসেবা গ্রহণ করেন।
বর্তমানে মনোয়ারা বেগমের বাম গাল ও চোখ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে সমস্ত শরীরে ক্যান্সার জীবাণু ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে তার শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে এবং প্রতিনিয়ত নাক দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। সহায় সম্বলহীন মনোয়ারা বেগমের ১৩ বছরের মেয়ে আসমা মানসিক প্রতিবন্ধী। ১৮ বছর বয়সী ছেলে রাকিব হার্টের সমস্যার কারণে কাজ করতে পারছে না। দু’টি সন্তান নিয়ে প্রতিদিনের দু’বেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে মনোয়ারা বেগম। থাকার ঘরটিও জরাজীর্ণ। একটুখানি বৃষ্টি হলে ঘরের ভিতর পানিতে সয়লাভ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতাল এন্ড ওয়েলফেয়ার হোমের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মনোয়ারা বেগমকের চিকিৎসার জন্য প্রায় ২৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। টাকার অভাবে মনোয়ারা বেগম মৃত্যু পথযাত্রী। চিকিৎসার ব্যয়ভার গ্রহণের জন্য মনোয়ারা বেগম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। সুস্থ হয়ে মনোয়ারা বেগম তার দু’টি সন্তান নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখে সবাইকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চান।
ক্যান্সার আক্রান্ত মনোয়ারা বেগমের চিকিৎসায় কেউ আর্থিক সহযোগিতা করতে চাইলে তার পারিবারিক মোবাইল নম্বর ০১৬৩০৩২৭৭১৬ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
২২ মার্চ, ২০২১।