আহসান হাবীব সুমন
কচুয়া রহিমানগর উত্তর বাজারে মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানাসহ ২০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে। অগ্নিকা-ে কাসেমুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানা এবং সংলগ্ন ১টি আধাপাকা মসজিদসহ, ২০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে কচুয়া ও শাহরাস্তি থেকে ফায়ার-সার্ভিস কর্মীরা ও পুলিশসহ স্থানীয়দের সহয়তায় ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততোক্ষণে মোবাইল ফোন শো-রুম, ফ্লেক্সিলোড, বিকাশ ও কম্পিউটার, কনফেকশনারি, লাইব্রেরী, মুদি, স্ট্রেশনারী ও লেপ তোষকসহ ২০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকা-ে ক্ষয়-ক্ষতির প্রায় পরিমাণ ২ কোটি টাকার হবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা দাবি করছেন।
অগ্নিকা-ে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হচ্ছে- মা টেলিকম, আরিশা টেলিকম, মা মনি ইলেক্ট্রনিক্স, আফিফা টেলিকম, পান্না টেলিকম, আজাদ টেলিকম, নিহা মাহি কনফেকশনারী, মদিনা লাইব্রেরী, লাকি ইলেক্ট্রিক, খায়ের ইলেক্ট্রিক, জেরিন টেলিকম, সোলেমান স্টোর, সুমন টেলিকম, বাসার স্টোর, আজমীর বেডিং হাউসসহ কাসেমুল উলুম মাদরাসার অফিস কক্ষ, হেফজ বিভাগ, নূরাণী বিভাগ ও এতিমখানার ২৬ জন ছাত্রদের বেডিং ও আসবাবপত্র।
অগ্নিকা-ের সূত্রপাতের সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে কাসেমুল উলুম এতিমখানা মাদরাসা রান্নার পাক ঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন।
এদিকে অগ্নিকা-ের খবর জেনে কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান ভূঁইয়া, জেলা পরিসদের সদস্য সালাউদ্দীন ভূঁইয়া অগ্নিকা-স্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের শান্তনা দেন।
- Home
- প্রথম পাতা
- কচুয়ায় মসজিদ, এতিমখানাসহ ২০টি দোকান পুড়ে ছাই
Post navigation

