ভূমিদস্যু নাছির ঢালীর অত্যাচারে অতিষ্ট একটি অসহায় পরিবার
স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর শহরের উত্তর গুণরাজদীতে পৈত্রিক সম্পত্তিতে মসজিদের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলের চেষ্টা করেছে ভূমিদস্যু নাছির ঢালী। চাঁদপুর পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডস্থ উত্তর গুণরাজদী গাজী সড়কের শেষ মাথায় নদীর পাড়ে পথে আলী ঢালী বাড়ির মৃত নূর মোহাম্মদ ঢালীর ছেলে মো. আব্দুল হালিম ঢালীর পৈত্রিক ও দলিল সূত্রে সম্পত্তি দখলে যেতে পারছেনা। এ নিয়ে চাঁদপুর পৌরসভা মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সমাধান দেয়ার জন্য একাধিকবার বসার সময় দিয়ে ভূমিদস্যু নাছির ঢালী একবারও উপস্থিত হয়নি। তার খুঁটির জোর কোথায়? পৌরসভার থেকে ৬ বার বসার সময় দেয়ার পরও সে উপস্থিত হয়নি।
ভোক্তভুগী মো. আব্দুল হালিম ঢালী ও তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন ঢালী জানান, আমার বাবা মৃত নূর মোহাম্মদ ঢালী পৈত্রিক সূত্রে ২০ শতাংশ ভূমি পায়। বাবার কাছ থেকে আমরা ৩ ভাই ঐ জায়গার হেবা দলিলের মাধ্যমে মালিক হই। কিন্তু ২০ শতাংশের মধ্যে ৪ শতাংশ জায়গায় আমরা দখলে রয়েছি। বাড়ির এক খতিয়ানের অন্য অংশিদার নাছির ঢালী আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে জোরপূর্বক মসজিদের সাইনবোর্ড টানিয়ে দখল করেছে। অথচ আমাদের সম্পত্তির পাশে ৫০ গজ দূরে একটি মসজিদ রয়েছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভা মেয়র, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিল হাবিবুর রহমান দর্জিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়। চাঁদপুর পৌরসভা মেয়র বরাবর গত ২০১৭ সালের ১১ সেপ্টম্বর লিখিত অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগের আলোকে পৌরসভার পক্ষ থেকে ভূমি মীমাংসা করার জন্যে ২০১৭ সালের ১৩, ১৭, ১৯, ২৬ ও ২৮ সেপ্টেম্বর এবং ১০ অক্টোবর পৌরসভা কার্যালয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়। নাছির ঢালী ও তার লোকজন একটি শুনানিতেও উপস্থিত হয়নি।
তিনি আরো জানান, গত শবেবরাতের রাতে মসজিদে আমার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন ঢালী নামাজ পড়তে গেলে নাছির ঢালী মারধর করতে গেলে মসজিদের অন্যান্য মুসল্লিরা উভয়কে সরিয়ে দেন। নেকমত ঢালী নাছির ঢালীকে ৭৫ হাজার টাকা দেয় আমাদের উপর লোকজন দিয়ে হামলা চালানোর জন্য। গত শনিবার নাছির ঢালী ও তার লোকজন আমাদের সীমানা বেড়া ভেঙে ভিতরে থাকা তরি-তরকারি গাছ নষ্ট করে ফেলে। এসময় আমরা বাড়িতে না থাকায় আমার মা হালেমা খাতুন, স্ত্রী আমেনা বেগম ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রুমা বেগম এগিয়ে গেলে তাদের গায়ে হাত তোলে এবং তাদের বলে আব্দুল হালিম ঢালী ও আনোয়ার হোসেন ঢালীকে বের করে দে, তাদের জ্যন্ত কবর দিয়ে ফেলবো- বলে হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে সাথে সাথে ওয়ার্ড কাউন্সিল হাবিবুর রহমান দর্জি, ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর খানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হলে তারা গতকাল রোববার সকাল ১১টায় বসার সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এখানেও নাছির ঢালী উপস্থিত হয়নি। গণ্যমান্যরা ঈদের পর ৯ জুন আবার সালিসের সময় নির্ধারণ করেন।