ইউপি চেয়ারম্যানের নিন্দা
সজীব খান
চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের খন্দকার বাড়ি জাম মসজিদ রাতের আঁধারে ভাঙচুর ও টিউবওয়েল চুরির করার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত ২টায় দিকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। মসজিদ ভাঙচুর ও টিউবওয়েল চুরির ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ নেমে আসে। এই প্রথম মসজিদ ভাংচুর করার বিষয়টি মৈশাদীসহ আশপাশের চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি দেখার জন্য অনেকেই ঘটনাস্থলে ছুটে এসে স্বচক্ষে ঘটনাটি দেখে দুঃখ প্রকাশ করে। এলাকাবাসী মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিককে জানালে তিনি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে তার প্রতিনিধি পাঠান এবং সংবাদকর্মীদের বিষয়টি জানান।
সরজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, কে বা কারা রাতের আঁধারে মসজিদের জানালা ভাঙচুর করেছে। ঘটনাটি অনুসন্ধান করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য এলাকাবাসী দাবি করেছে।
খন্দকার বাড়ির একাধিক ব্যক্তি বলেন, এ মসজিদটি অনেক পুরনো। এখানে কয়েকটি বাড়ির লোক এসে জুমার নামাজসহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। আমাদের এ মসজিদ নিয়ে কারো সাথে কোন বিরোধ নেই। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমরা কিছ্ইু বলতে পারবো না।
২নং ওয়ার্ড মেম্বার কালাম বেপারী বলেন, আমার ওয়ার্ডে মসজিদের জানালা ভাঙচুরের বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘটনাটির খবর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিকের কাছে গেলে সাথে সাথেই তিনি আমাকে তা দেখার জন্য পাঠান। আমি সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে এসেছি। সবাইকে শান্ত থেকে কে এ ঘটনা ঘটিয়েছে, অনুসন্ধান করে বের করার জন্য বলেছি। পরে বিষয়টি চাঁদপুর মডেল থানায় জানিয়েছি।
মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, মসজিদ হচ্ছে ইবাদতের স্থান, শান্তির স্থান। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য মসজিদে এসে ইবাদত করেন। কিন্তু কে বা কারা রাতের আঁধারে মসজিদের জানালার গ্লাস ভাঙচুর করেছে এবং টিউবওয়েল চুরি করেছে। এটি সত্যি মারাত্মক দুঃখজনক ঘটনা। যারা এ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের সনাক্ত করতে পারলে পরিষদের পক্ষ থেকে পুরস্কার দেয়া হবে। এ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জন্য আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।