স্টাফ রিপোর্টার
‘কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার (ইএএলজি)’ প্রকল্পের আওতায় তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি দিনব্যাপী দু’টি গ্রুপে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় হাইমচর উপজেলার আলগী দুর্গাপুর দক্ষিণ, গাজীপুর ও নীলকমল ইউনিয়ন এবং দুপুর ২টায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা দক্ষিণ, বালিথুবা পূর্ব ও সুবিদপুর (পূর্ব) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, নারী মেম্বার ও উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুরের অধিকাংশ মানুষই অত্যান্ত ভদ্র ও ভালো। তারা তথ্য অধিকারের সাথে জড়িত থেকে নির্বিঘেœ কাজ করে যাচ্ছেন। জাতির পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে অংশ নেয়া কেউই দুর্নীতি করতে পারে না। দেশে অল্প কিছু লোক দুষ্ট প্রকৃতির রয়েছে। কিন্তু তবুও এই দেশ উন্নত, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপ্রিয় হবেই। কেউ আটকে রাখতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই ভালোর প্রচার নেই। অন্ধকার থেকে আলোতে আনতে সবাই তথ্য অধিকার আইন মানতে বাধ্য। এই হোক দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে শহরের সুজলা, সফলা, শষ্য-শ্যামলা একটি বাংলাদেশের চিত্র।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য কমিশনের পরিচালক ড. মো. আ. হাকিম। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, তথ্য অধিকার আইনে যার উপর অভিযোগ হয়। সেই অভিযোগ যাকে নিয়ে করা হয়। তাকেই সেই অভিযোগ থেকে নির্দোশ প্রমাণ করতে হয়। আর এই আইন দিয়ে জনগণ রাষ্ট্রকে পরিচালনা করে। এই তথ্য অধিকার আইন ২০০৫ সালে ভারতে এই আইন পাস হয়েছিলো। আমরা তথ্য দিবো এবং তথ্য নিবো এই শ্লোগানে দেশ গড়ায় অংশ নেবো।
তিনি আরো বলেন, পবিত্র সংবিধানে জনগণের বাক স্বাধীনতার কথা বলা রয়েছে। আর তথ্য অধিকার হচ্ছে এর অবিচ্ছেদ্য অংশ। কল্যাণ রাষ্ট্রে করার জন্যই তথ্য অধিকার আইন। সার্বক্ষণিক জনগণকে সেবা দেয়ার জন্যই আমাদের এই কাজ করে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শওকত ওসমান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, কেউ তথ্য চাইলে তথ্য দিতে হবে। আপনাদের জনপ্রতিনিধিদের মধ্য দিয়েই আমরা জনসেবা নিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে চাই। মানুষকে তথ্য সেবা দিয়ে সহায়তা করবেন। সবার স্ব-স্ব অবস্থান থেকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার মাধ্যমে সুন্দর বাংলাদেশ আমরা গড়বো- এই প্রত্যাশা রাখছি।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসী বেগমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন হাইমচর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা আক্তার শেফালী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান রিনা নাসরিন, ইএএলজি প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর নুরউদ্দীন মামুন, গ্রাম আদালতের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর নিকোলাস বিশ্বাস প্রমুখ। অনুষ্ঠান শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল এবং গীতা পাঠ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অজিত বরন সরকার।
