মনিরুল ইসলাম মনির
শীতের সকালে কুয়াশার চাদরে ঘেরা মতলব উত্তরের গ্রামীণ মেটো পথ। এরই মধ্যে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কেবল চোখে পড়ে হলুদ ফুলে ঢাকা সরিষার ক্ষেত। সরিষা ফুলের হলুদ র গায়ে মাখাতে কিংবা প্রয়োজনীয় রসদ সংগ্রহ করতে সেখানে ভিড় জমিয়েছে প্রজাপতি, মৌমাছি, হলুদিয়া-নীলরঙা পাখিসহ নানা প্রজাতির পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গ। এ উৎসব ছড়িয়ে পরেছে উপজেলার দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে। সরিষা ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ।
গত ক’বছর ধরে সরিষা চাষে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন এ উপজেলার কৃষকরা। চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
মতলব উত্তরে ইরি-বোরো ধানের পরই দ্বিতীয় প্রধান অর্থকরী রবি ফসল সরিষা। এবার উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রান্তিক চাষিরা অল্প কিছু জমিতে হলেও সরিষার আবাদ করছেন। স্বল্পমেয়াদী ও কম খরচে এ ফসলটি চাষাবাদ হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
কয়েক দিন পরেই সরিষা ক্ষেতের হলুদ ফুল ঝড়ে গিয়ে দানাযুক্ত ছোট ছোট সবুজ মঞ্জুরিপত্র ছড়াতে শুরু করবে। তখন সবুজে ভরে উঠবে কৃষকের ক্ষেত। সবুজ মঞ্জুরি পত্রগুলো আস্তে আস্তে কালচে বর্ণ ধারণ করবে এবং গাছগুলো শুকাতে শুরু করবে। এরপর পরিণত সরিষা ঘরে তোলার পর্ব শুরু হবে।
এ বিষয়ে উপজেলার পূর্ব নাউরী গ্রামের কৃষক ফয়েজ আহমেদ জানান, চলতি মৌসুমে তিন ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করছেন। ফলন ভালো হলে প্রতি একর জমিতে অন্তত ১০ মণ সরিষা উৎপাদন হবে।
এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, চলতি বছর উপজেলায় ১হাজার ৭শ’ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিধার্রণ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সরিষার চাষ হচ্ছে।
তিনি জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার আবাদ থেকে এবার কৃষকরা বাড়তি মুনাফা পাবেন।
