সংবাদপত্রের সাথে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর
……..শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি
স্টাফ রিপোর্টার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট হতে চাঁদপুরে সাংবাদিকদের মাঝে কল্যাণ অনুদান ও আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করা হয়েছে। গত শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের যৌথ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে সাংবাদিকদের মাঝে চেক বিতরণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
এসময় তিনি বলেন, আমি প্রেসের মধ্যে ছুটাছুটি করে বড় হয়েছি। কাজেই এই সংবাদপত্রের সাথে আমার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বপ্ন দেখেন, আমাদের স্বপ্ন দেখান। আর শুধু স্বপ্ন দেখানই না, তা বাস্তবায়নও করেন। তিনি সাংবাদিকদের কল্যাণে এই কল্যাণ ট্রাস্ট করেছেন। তিনি ‘৮১ সালে দেশে এসেই কথা দিয়েছিলেন মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন, মানুষের পাশে থাকবেন। যে কারণে তিনি ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। ২০০৯ থেকে একাধিক্রমে ৩ বার ক্ষমতায় থাকার কারণে এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আজ প্রতিটি মানুষকে স্বীকার করতে হবে ১৫ বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম, এখন কোথায় আছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, আজ যারা মানবাধিকারের কথা বলেন ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ভোট দেওয়ার অপরাধে যাদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছিল, অসংখ্য নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল- তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার? যখন সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালুকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন মানবাধিকার কোথায় ছিলো। তারা বলে- তাদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। অথচ রাস্তায় বলছে, দোকানপাটে বসে বলছে, আর রাতেতো টকশোতে বলেই যাচ্ছে। তারপরও তারা নাকি কথাই বলতে পারছে না। গতকালও সমাবেশের নামে ঢাকায় তান্ডব চালিয়েছে, আজও তাদের তান্ডব চলছে- সম্পূর্ণ মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে। এক্ষেত্রে সংবাদপত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সত্য আর মিথ্যাকে কিন্তু এক পাল্লায় মাপা যায় না। কিন্তু আমি বলবো, যেটা সত্য সেটাকে সত্য বলুন আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলুন।
তিনি বলেন, আপনাদের পেশাটা একটি মহৎ পেশা। কাজেই আমাদের ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধু যেমন সংবাদপত্র সাংবাদিকদের পাশে ছিলেন, আজ তার কন্যাও দলমত নির্বিশেষে সাংবাদিকদের পাশে আছেন। অন্যদিকে আমরা দেখেছি ক্ষমতায় থাকাকালে বেগম জিয়া ও তার দল এই সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল। আজ যারা আন্দোলন করেছে তারা যতবারই ক্ষমতায় এসেছে ততবারই দেশ ধ্বংসের দিকে গিয়েছে। তারা হয় পিছনের দরজা দিয়ে নয়তো বন্ধুকের নল ঠেকিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র (বাদল)।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পৌরসভার মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পরিচালক মনিরুল ইসলাম কবির।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাও. আব্দুর রহমান ও গীতা পাঠ করেন বিমল চৌধুরী।
চেকপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের মধ্যে অনুভূতি প্রকাশ করেন দৈনিক চাঁদপুর সংবাদের সম্পাদক আব্দুর রহমান, প্রয়াত সাংবাদিক আব্দুস সোবহান রানার স্ত্রী শীরিন আক্তার, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান। এদিন ৮২ জন সাংবাদিকের মাঝে মোট ১৭ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
৩১ জুলাই, ২০২৩।
