ইল্শেপাড় রিপোর্ট
আজ ৬ জুন, দৈনিক ইল্শেপাড় ১৯তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইল্শেপাড় পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁদপুরের সব পাঠক, গ্রাহক, এজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানানো হয়েছে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
চাঁদপুরে সংবাদপত্রের জগতে ধূমকেতুর মতোই আবির্ভূত হয়েছিলো দৈনিক ইল্শেপাড়। আজ তার বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়ে ১৯ বছরে পদার্পণ করলো। ইতোমধ্যে পত্রিকাটি চাঁদপুরবাসীর ঈর্ষণীয় সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রিয় চাঁদপুরবাসীর অভাবনীয় ভালোবাসা সত্যিই ইল্শেপাড় পরিবারকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে।
২০০৬ সালের এমন দিনে আমাদের গৌরবের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে গণতন্ত্রের বিকাশ ত্বরান্বিত করা, জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়ন নিঃসংশয় করা, জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির চর্চা বৃদ্ধি করা এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রেখে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে দৈনিক ইল্শেপাড় যাত্রা শুরু করে। চাঁদপুরের মাটি ও মানুষের কথা বলতে পথচলা শুরু করে ইল্শেপাড়। বেশ কিছু বাধা-বিপত্তি, অর্থদৈন্যতা, হুমকি-ধমকি এর অবিরাম গতিকে আগলে এসেছে ইল্শেপাড়।
২০০৬ সালের এমন দিনের কাকডাকা ভোরে চাঁদপুরবাসীর কোল জুড়ে আসে ইল্শেপাড় নামক এই দৈনিকটি। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভক্ষণে পাঠক, গ্রাহক, এজেন্ট, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি রইলো আমাদের কৃতজ্ঞতা।
সবার অফুরন্ত ভালোবাসা অক্ষুণ্ন থাকবে, আমাদের আগামি দিনের পথ চলাতে- এমনটাই প্রত্যাশা করছি। মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
আজ ৬ জুন, ২০২৪ দৈনিক ইল্শেপাড় ১৮ বছর পূর্তি করে ১৯ বর্ষে পদার্পণ করেছে। ২০০৬ সালের এই দিনে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো যে পত্রিকাটি তা’ আজ বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে নতুনভাবে পথচলা শুরু হলো। সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা ছাড়া এই পথ চলা প্রচণ্ড কষ্টকরও বটে। এসময়ের মধ্যে রয়েছে নানা দুষ্ট লোকের নানা ষড়যন্ত্র। যা’ এখনো অব্যাহত। এছাড়া রয়েছে মুখোশধারী ভালো মানুষরা। তাদের মুখে মধু থাকলেও অন্তরটা কুৎসিত। এসব মোকাবেলা করেই আজ ১৯ বর্ষের পথচলা শুরু হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠাকালীন সহকর্মীদের এখন অনেকেই এ পত্রিকার সাথে জড়িত নেই। আবার পরবর্তীতে আবার অনেকে এসে যুক্ত হয়েছেন এখানে। চলতি বছরের ৯ এপ্রিল পত্রিকার প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সম্পাদক এসএম আনওয়ারুল করীম ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি……রাজিউন)। তিনি দীর্ঘদিন লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারত ও বাংলাদেশে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রায় ১২ বছর পর আবারো ইল্শেপাড় পরিবারে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি। ২০১২ সাল থেকে তিনি ঢাকায় চাকরিরত থাকায় পত্রিকার সাথে যুক্ত না থাকলেও প্রায় প্রত্যেকের সাথেই যোগাযোগ ছিল নিয়মিত। এছাড়াও অনেকে এ পেশা থেকে অনেক দূরে চলে গেছেন। কিন্তু পত্রিকার মায়া কাটাতে পারেননি অনেকে। তাঁরা এখনো দূর থেকেও খোঁজ-খবর রাখছেন, পত্রিকার সুখ-দুঃখের।
গত প্রায় ৯ বছর যাবত নির্বাহী দায়িত্ব পালনকালে সহকর্মীদের ভালোবাসা, সুখে-দুঃখে পাশে থাকাসহ অনেকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে চলতে হয়েছে। তবে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. মিজানুর রহমান সাহেবের নিয়মিত পরামর্শ ও সহযোগিতায় কাজ করা গেছে নিরবচ্ছিন্নভাবে।
বিশেষ করে ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাঁদপুর সফরকালে পত্রিকাকে চার রঙে প্রকাশ করতে পরিকল্পনা ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা করেন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব মো. মিজানুর রহমান। ফলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘দৈনিক ইলশেপাড়’ তুলে দিতে পেরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পত্রিকাটি হাতে নিয়ে চাঁদপুর ও সংবাদপত্র সম্পর্কে নানা কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই শুভক্ষণে পত্রিকা পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভাকাক্সক্ষীসহ চাঁদপুরবাসীকে জানাই কৃতজ্ঞতা। যারা নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও ইল্শেপাড়ের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা অক্ষুণ্ন রেখেছেন। -মাহবুবুর রহমান সুমন, প্রধান সম্পাদক।
০৬ জুন, ২০২৪।