আহসান হাবীব সুমন
অস্বাভাবিক জীবন-যাপন প্রতিবন্ধী ফয়সালের। কচুয়ায় হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান ফয়সাল ১৩ বছর ধরে খাবার খেতে ও পায়ে হেটে চলাফেরা করতে পারে না। হাত-পা অচল হওয়ায় স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারছে না সে। কেউ রাখে না তার খবর অর্থাভাবে চিকিৎসা না হওয়ায় নিয়তি ভেবেই এভাবেই কাটছে ১৩ বছর।
কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন ও বিউটি আক্তার দম্পতির প্রথম সন্তান ফয়সাল জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী। যে বয়সে তার লেখাপড়া ও খেলাধুলার করার কথা ছিল কিন্তু সে এই বয়সেই অন্ধকারে জীবন কাটছে ১৩ বছর। আলোকিত পৃথিবীতে অন্ধকারই তার জীবনসঙ্গী। অচল হাত-পা দিয়ে সে চলতে শুরু করাই প্রতিনিয়ত পরে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পায়। চলার পথে সে বারবার হোঁচট খেয়ে এসব বাঁধা পেরিয়ে হাটার চেষ্টা করে। তবে বৃষ্টির দিন পিচ্ছিল থাকলে সে কোথাও যেতে পারে না।
ফয়সালের দাদা হাফিজ উদ্দিন ও ফুফু রূপবান বলেন, ফয়সাল জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার বাবা-মা খোঁজ-খবর রাখে না। দিন মজুরীর আয় দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে। টানাটানির সংসারে ভাতই মিলে না, তার চিকিৎসার খরচ কে দিবে? আমরা গরিব মানুষ। দিন আনি দিন খাই। ফয়সালের উন্নত চিকিৎসা করা হলে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারতেন। কিন্তু আমাদের তো চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই।
দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে দেখভাল করছেন ফয়সালের দাদা-দাদী। কিন্তু অর্থাভাবে তার কোন চিকিৎসা করাতে পারছেন না। নাতী ফয়সালের চিকিৎসার জন্য তারা সবার সাহায্য কামনা করেন।
পালাখাল মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমাম হোসেন বলেন, ফয়সাল প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। এভাবে তাকে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বিভিন্নভাবে তার পরিবারকে সাহায্য করে আসছি। কিন্তু তার চিকিৎসা করার সামর্থ্য নেই পরিবারের।
১০ অক্টোবর, ২০১৯।